নাক্স ভোমিকা হোমিও ঔষধের চারিত্রিক লক্ষণসমূহ | Symptoms of Nux vomica.
নাক্স ভোমিকা হোমিও ঔষধের চারিত্রিক লক্ষণসমূহ
(Characteristic symptoms of Nux vomica medicine):
কুঁচিলা বীজ হতে হোমিও ঔষধ নাক্স ভোমিকা বা ট্রিকটিয়া প্রস্তুত হয়। হোমিও চিকিৎসা জগতে এই নাক্স ভোমিকার যথেষ্ট কদর রয়েছে। মানব দেহের প্রায় এক তৃতীয়াংশ রোগ এই নাক্স ভোমিকা দ্বারা আরোগ্য হয়ে থাকে।
Characteristic Symptoms of Nux vomica medicine:
১. উত্তেজক দ্রব্য আহারের জন্য পীড়া, উত্তেজক ঔষধ সেবনের জন্য পীড়া বিশেষ করে নানা প্রকার তিক্ত কষায় ঔষধ সেবন করার পরও অজীর্নের পীড়ায় উপকার না হলে ইহা ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
২. অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম, রাত্রি জাগরণ বা মাদক দ্রব্য সেবনজনিত শরীরের প্রতি অত্যাচার হেতু শিরঃপীড়া। সকাল বেলায় শিরঃপড়া শুরু হয়, দিনে বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যা বেলায় ক্রমেই কমে। সে সঙ্গে কোষ্ঠবদ্ধতা, টকবমি এবং দৃষ্টিতহীনতা।
৩. ইহার রোগী অতি সহজেই রেগে উঠে, হিংসা ও ঘৃণায় তাদের অন্তর পরিপূর্ণ থাকে।
৪. যে সকল লোক অনবরত গৃহে বসে থাকে বা অত্যন্ত লেখা পড়া করে, চিত্তের উনাত্ততা জন্মায় এবং তৎসহ পেটের পীড়া বা কোষ্ঠবদ্ধতা, তারাই নাক্স-ভমিকার রোগী।
৫. লক্ষণসমূহ নড়াচড়ায়, পরিশ্রমে, ঠাণ্ডা বাতাস লাগা হেতু এবং প্রাতঃকালে বৃদ্ধি পায়। গরমে এবং বিশ্রামে উপসর্গের উপশম হয়।
৬. খাওয়ার পর পেট ফুলতে থাকে, মুখে অল্প আস্বাদ, মুখে জল উঠা, পেটে বেদনা, পেট যেন পাথরের ন্যায় শক্ত, সেই সাথে মনোবিকার।
৭. সব সময় একাকী থাকার ইচ্ছা, অত্যন্ত রাগী, অত্যন্ত মানসিক পরিশ্রম হেতু মনোবিকার ও কোষ্ঠকাঠিন্য। গুরুপাক দ্রব্য আহার হেতু অজীর্ণ।
৮. মুখে তিক্ত বা টক জল উঠে ।
৯. প্রাতঃকালে, আহারের পর এবং ধূমপানে গা বমি বমি, গলার মধ্যে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দিয়ে বমি করার চেষ্টা, মনে হয় বমি করতে পারলে একটু শান্তি হবে।
১০. সন্ধ্যাবেলায় বসে থাকলে ও শয়ন করলে সঙ্গে সঙ্গে নিদ্রা আসে (পালসেটিলায় ইহার বিপরীত)। শেষ রাত্রির দিকে নিদ্রাভঙ্গ হয়ে নানা প্রকার চিন্তায় আচ্ছন্ন থাকে। আবার প্রভাত হওয়ার সাথেই তন্দ্রা আসে। নিদ্রা হলে স্বপ্নদোষ, নিদ্রাভঙ্গের পর সন্ধ্যাবেলা হতেও অধিকতর অবসন্ন হয়ে পড়ে।
১১. কোনও পীড়ায় বার বার মলত্যাগের চেষ্টা, কিন্তু পরিষ্কার ভাবে মলত্যাগ হয় না।
১২. বার বার প্রস্রাবের ইচ্ছা কিন্তু জ্বালাসহ সামান্য প্রস্রাব হয়।
১৩. পিঠে ও কোমরে বেদনা-পাশ ফিরলে তার বৃদ্ধি ঘটে।
১৪. মনে হয় যেন মাথাটি অত্যন্ত বড় হয়ে গেছে।
১৫. অর্শের সাথে বার বার মলত্যাগের চেষ্টা কিন্তু পরিষ্কার ভাবে মলত্যাগ হয় না -কোমরে বেদনা থাকে।
১৬. তলপেটে ব্যথা, মনে হয় যেন অন্ত্রবৃদ্ধি (হার্ণিয়া) হবে।
১৭. গয়ারে পঁচা গন্ধ থাকে। খাদ্য, পানীয় সব কিছুতেই পঁচা গন্ধ বোধ হয়।
১৮. একবার কোষ্ঠবদ্ধতা একবার উদরাময়, কোষ্ঠবদ্ধতায় অতি কষ্টে স্বল্প মাত্র মল বের হয়।
১৯. শীর্ঘ শীর্ঘ ঋতু হয়- যথা সময়ের পূর্বেই ইহা প্রকাশ পায় এবং অনেক দিন পর্যন্ত অধিক পরিমাণে ইহা নিঃসত হয় (সালফার ও পালসেটিলায় ইহার বিপরীত)।
২০. মহিলা রোগীদের দূর্গন্ধযুক্ত শ্বেত প্রদর, কাপড়ে হলুদ বর্ণের দাগ লাগে, সে সঙ্গে জরায়ুতে বেদনা।
২১. গায়ে অত্যন্ত তাপ থাকে যেন গা জ্বলে যাবে। কিন্তু গায়ের কাপড় খুললেই শীত, শীত বোধ হয়।
২২. রাত্রিতে অথবা আহারের পর হাঁপানি বৃদ্ধি।
২৩. কাশি শুষ্ক এবং কষ্টদায়ক, তার সাথে তলপেট টাটিয়ে থাকে।
২৪. সর্দি হলে দিনে নাক হতে সর্দি ঝরে কিন্তু রাত্রে নাক বন্ধ থাকে।
নাক্স ভোমিকার রোগী খুঁজে বের করতে উপরোক্ত লক্ষণসমূহ জানা অত্যাবশ্যক।
Presented by www.homeotalk24.info
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Thanks for provide this best tips
ReplyDeleteওষুধ টা সত্যি খুব ভালো।আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগলো। এগিয়ে যান।
ReplyDeleteTanx for hom.....
ReplyDeleteNice informative post
ReplyDeleteThanks for sharing this valuable information 👏👏👏
ReplyDelete