বমনের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা || Homeopathic treatment of vomiting.
পেটের ভিতরের খাদ্যদ্রব্য, পানি, পিত্ত অর্থাৎ যে কোনো জিনিস মুখ দিয়ে বের হওয়ার নাম বমি।
বহুবিধ কারণে এ বমন হতে পারে। তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণে বমনের অনেক রকম রোগের একটি লক্ষণ মাত্র।
বমনের লক্ষণ:
১। পেট গরম হলে বা গুরুপাক খাদ্য খেলে, বদহজম জনিত কারণে বা ফুড পয়জনিং-এর জন্য বমন হতে পারে।
২। পাকস্থলীতে এসিড বেশি হলে ।
৩। ডায়রিয়া বা কলেরায় আক্রান্ত হলে।
৪। জ্বর বেশি হলে বা পেটে কৃমির জন্যও হতে পারে।
৫। গর্ভের প্রাথমিক অবস্থায়।
৬। অতিরিক্ত গরম হওয়ার জন্য।
৭। মাথায় টিউমার হলে, মেনিনজাইটিস হলে এবং আঘাত লাগলে।
৮। অতিরিক্ত জর্দা, মদ বা নেশা জাতীয় কিছু খেলে।
৯। আলসার অথবা ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিরও বমি হতে পারে ।
১০। হিস্টিরিয়া হলে বমি হতে পারে।
১১। এপিন্ডিসাইটিস রোগেরও বমি হতে পারে।
photo credit: shutterstock |
বমনের সমস্যার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত উল্লেখযোগ্য ঔষধের নাম ও তাদের লক্ষণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ঔষধের লক্ষণের সাথে রোগীর লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
আনিকা মন্ট (Arnica Mont): শরীরের কোন স্থানে আঘাত লাগিয়া অথবা অস্ত্র চিকিৎসার পর বমি হইলে আর্নিকা মন্ট অব্যর্থ।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 6 বা 30 এক ঘন্টা অন্তর ব্যবহার্য।
ককুলাস ইন্ডিকা (Cocculus Ind): গাড়ী, নৌকা বা কোন যানবাহনে চড়িলে কিংবা চলতি যানবাহনের দিকে তাকাইলেও বমি হয়। কিংবা বমি বমি ভাব হয় । ইহাতে ককুলাস অব্যর্থ।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 30 বা 200 যানবাহনে চরিবার পূর্বে কয়েক মাত্রা সেনে উপকার হয়।
ইপিকাক (Ipecac): বমির শ্রেষ্ঠ ঔষধ। বমির চেয়ে বমির ভাব বেশী। গা বমি বমি করে ও বমি হয়। জিহ্বা পরিষ্কার রোগী মাথা নিচু করিলে বমির ভাবের বৃদ্ধি হইলে ইপিকাক অব্যর্থ।
সেবন বিধি - শক্তি 6 বা 30 দুই এক ঘন্টা অন্তর সেব্য।
এসিড সালফ (Acid Sulph): বুক গলা জ্বলে, টক ঢেকুর উঠে। টক বমি হয়, বমির পর দাঁত টক হইয়া যায় ইত্যাদি লক্ষণে ইহা উপকারী।
সেবন বিধিঃ- শক্তি 30 বা 2০০ দিনে দুই মাত্রা।
আর্সেনিক এলব (Arsenic Alb): অত্যন্ত জল পিপাসা, অল্প মাত্রায় ঘন ঘন জল পান করে। জল পান মাত্রই বমি, পেটে জ্বালা, অস্থিরতা, ছটফটানী প্রভৃতি লক্ষণে ইহা উপকারী।
সেবন বিধি- শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই মাত্রা।
সূত্র: অব্যর্থ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, ডা: এম. এ হোসেন
সতর্কীকরণ: হোমিও ঔষধ সেবনের পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Joss
ReplyDelete