হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি কী? এটি কিভাবে কাজ করে?
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি কী? এটি কিভাবে কাজ করে?
প্রায় ২০০ বছর আগে স্যামুয়েল হানেমান নামের এক চিকিৎসক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন৷ রোগীকে অল্প ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র৷
Homeopathy ইংরেজী শব্দটি গ্রীক শব্দ Homeo বা Homoios বা Pathy বা Pathos হতে উৎপন্ন হয়েছে। গ্রীক ভাষায় হোমিও মানে সদৃশ, like similarly বা pathos মানে উপায় পদ্ধতি বা কষ্টভোগ। অর্থাৎ হোমিওপ্যাথির অর্থ হল 'সদৃশ রোগ বা সদৃশ দুর্ভোগ'। প্রায় ২০০ বছর আগে স্যামুয়েল হানেমান নামের এক চিকিৎসক হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন৷ এই চিকিৎসার তত্ত্ব হচ্ছে, সুস্থ ব্যক্তির দেহে যদি ‘সাবস্টেন্স’ বা উপাদান প্রয়োগ করা হলে যে প্রতিক্রিয়া হয়, সেই একই ভাবে রোগীকে সুস্থ করতে সেই সাবস্টেন্স ব্যবহার করতে হবে৷ আর একজন রোগীকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাঁর শারীরিক লক্ষণগুলোর পাশাপাশি মানসিক এবং আবেগী অবস্থাকেও মূল্যায়ন করেন হোমিওপ্যাথরা৷হোমিওপ্যাথির ছোট্ট বল বা বড়িতে গুলোতে কী আছে?
ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডরিশ সামুয়েল হানেমানের মতে, হোমিওপ্যাথিক ঔষধে এক ধরনের ‘স্পিরিট-লাইক পাওয়ার’ রয়েছে৷ যা রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। বলা বাহুল্য, এ ধরনের কথাবার্তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই৷ হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত উপাদানগুলো নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। এই বলগুলির মধ্যে রাসায়নিক উপাদান আর্সেনিক এবং প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করা হয়৷ এ ছাড়া হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরির উপাদানের তালিকায় পটাশিয়াম সায়ানাইড এবং মার্কারি সায়ানাইডও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এছাড়া বিভিন্ন হার্বাল এবং অ্যানিমেল প্রোডাক্টও হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়৷
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সাফল্য কিসের উপর নির্ভর করে?
হোমিয়োপ্যাথরা সাধারণত একজন রোগীকে এবং তাঁর রোগ সম্পর্কে জানতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন৷ তাঁরা সহানুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে রোগীর দুর্বলতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন এবং নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেন যাতে রোগী নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে শুরু করেন৷ আর এ কারণে হোমিওপ্যাথিকে মেডিসিনের বদলে সাইকোথেরাপি হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে৷ এভাবে আসলে একজন মানুষের ‘সেল্ফ-হিলিং’ ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়৷ ঔষধ এখানে গৌণ ব্যাপার৷ হোমিওপ্যাথি তাই বিশ্বাসের ব্যাপার, যুক্তির নয়৷
-----------------------------------
আরও দেখুন-
সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকা
-----------------------------------
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments