হোমিওপ্যাথিতে সূক্ষ বা ক্ষুদ্রতম মাত্রা কাকে বলে?
হোমিওপ্যাথিতে সূক্ষ বা ক্ষুদ্রতম মাত্রা কাকে বলে?
ওষুধকে সূক্ষমাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে, এটা হোমিওপ্যাথির অন্যতম নিয়মনীতি। হ্যানিম্যান তাঁর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার শুরুতে ওষুধের মূল বিচূর্ণ বা অরিষ্টকে খুব বেশি পরিমাণের মাত্রায় ও ঘন ঘন প্রয়োগ করতেন।
কিন্তু তাঁর চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে পরবর্তী সময়ে ওষুধের মাত্রাকে ক্রমান্বয়ে ছোট করতে থাকেন। তবে শেষ জীবনে এসে হ্যানিম্যান নতুন শক্তিকরণ (৫০ সহস্রতমিক) পদ্ধতির ওষুধ আবিষ্কার করেন এবং মাত্রাকে আরও ক্ষুদ্র করেন। একই আকৃতির ১০০টা অনুবটিকার ওজন ১ গ্রেন হয়, এমন একটি অনুবটিকাকে এ ওষুধের দ্বারা ওষুধিকৃত করে একে ক্ষুদ্রতম মাত্রা হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি এমন এক মাত্রাকে আরও ক্ষুদ্র করার জন্য জলে গুলে পরিবর্তিত মাত্রায় প্রয়োগ করেন। এতে মাত্রার স্থূলত্ব কমে আসে। তিনি আরও বলেছেন যে, স্নায়বিক দূর্বলতা যেখানে অত্যন্ত অধিক(রোগী যদি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও অনুভূতিশীল হয়), সেখানে রোগীকে ওষুধ সেবন করানোর পরিবর্তে ঘ্রাণ নেবার ব্যবস্থা করা উচিৎ।
সদৃশ বিধান মতে, রোগীর সদৃশ লক্ষণসম্পন্ন ওষুধ দ্বারা রোগ আরোগ্য করতে হলে, ওষুধের অতি অল্প মাত্রাই প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা রোগ লক্ষণের সাথে ওষুধের লক্ষণের সাদৃশ থাকায়, ওষুধ রোগের স্থান গ্রহন করে এবং রোগ অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে দূরীভূত হয়ে যায়। ওষুধের মাত্রা অত্যধিক হলে এর প্রভাব শরীরে দীর্ঘকাল থেকে গিয়ে রোগীকে দূর্বল করে ফেলে। স্থূলমাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ করলে এর প্রাথমিক বা মূখ্য ক্রিয়ার কিছু উপশম হলেও ওষুধের গৌণ ক্রিয়া বা জীবনীশক্তির প্রতিক্রিয়ায় কুফল দেখা দেয়।
-----------------------------------
আরও দেখুন-
যেসব কারনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ।
-----------------------------------
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments